ঘন কুয়াশায় তিন ঘণ্টা পর পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া রুটে ফেরি চলাচল শুরু
নিজেস্ব প্রতিবেদক
আপলোড সময় :
০৪-১১-২০২৪ ০৯:২৮:২৮ পূর্বাহ্ন
আপডেট সময় :
০৪-১১-২০২৪ ০৯:২৮:২৮ পূর্বাহ্ন
ছবি:সংগৃহীত
ঘন কুয়াশায় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ভোর রাত সাড়ে ৪টা থেকে সকাল সাড়ে ৭টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টা ফেরি চলাচল বন্ধ ছিলো। এসময় মাঝ পদ্মায় আটকে থাকে বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর ও বরকত নামে দুইটি ফেরি। এছাড়া পাটুরিয়ায় ৪টি ও দৌলতদিয়াঘাটে অপর ৪টি ফেরি আটকিয়ে রাখা হয়। ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় দুর্ভোগে পড়ে নদী পারাপারের যাত্রীরা।
বিআইডব্লিউটিসি আরিচা সেক্টরের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার আবদুস সালাম জানান, মধ্য রাত থেকে কুয়াশার প্রকোপ বাড়তে থাকে। ভোর রাত সাড়ে ৪টায় ঘন কুয়াশায় পুরো নৌপথ ঢেকে যায়। এতে নৌ দুর্ঘটনা এড়াতে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। মাঝ পদ্মায় আটকে পড়ে বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর ও বরকত নামে দুইটি ফেরি। এছাড়া আরো ৮টি ফেরি উভয় ঘাটে আটকিয়ে রাখা হয়।
ফেরি বন্ধ থাকায় পাটুরিয়া ও দৌলতদিয়া পাড়ে আটকা পড়ে অর্ধশতাধিক যাত্রীবাহী বাস ও পণ্যবাহী ট্রাক।
সকাল সাড়ে ৭টায় ঘন কুয়াশার প্রকোপ কেটে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এদিকে, আরিচা-কাজিরহাট রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় উভয় ঘাট এলাকায় পারের অপেক্ষায় আটকে পড়ে কয়েকশ’ পণ্যবাহী ট্রাক। এরমধ্যে মানিকগঞ্জের আরিচা ঘাট এলাকায় শতাধিক ও পাবনার কাজিরহাট ঘাট এলাকায় দুই শতাধিক ট্রাক আটকে পড়ে।
বিআইডব্লিউটিসি আরিচা আঞ্চলিক কার্যালয়ের ডিজিএম নাসির মোহাম্মদ চৌধুরী জানান, গত কয়েকদিন ধরে নাব্যতা সংকটের কারণে ওই নৌ রুটের আরিচা ঘাটের কাছে ডুবোচরে ফেরি আটকে যাচ্ছিলো। এরপরও ফেরি কর্তৃপক্ষ হাফলোড নিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় ফেরি সার্ভিস চালু রাখে। কিন্তু নদীর পানি দ্রুত কমতে থাকায় চ্যানেলটি আরো সুরু হয়ে যাওয়ায় একেবারেই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে চলাচল।
দফায় দফায় ফেরি চলাচল বন্ধ থাকার পর অবশেষে শুক্রবার দিনগত রাত ১০টা থেকে ফেরি চলাচল একেবারেই বন্ধ করা হয়। এতে মানিকগঞ্জের আরিচা ঘাটে শতাধিক ও পাবনার কাজিরহাটে দুই শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক আটকে পড়ে। আটকে পড়া এসব ট্রাকের চালক-হেলপারসহ শ্রমিকরা পড়েছেন চরম বিপাকে। দীর্ঘসময় অপেক্ষা শেষে অনেকেই ঘুরপথে গন্তব্যে রওনা দেন।বিআইডব্লিটিএ’র ড্রেজিং ইউনিটের আরিচা অঞ্চলের প্রকৌশলী ওসমান গনী বলেন, চলতি বছর আরিচা-কাজিরহাটসহ পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ৩৮ লাখ ঘণমিটার পলি অপসারণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে নাব্যতা ঠিক রাখতে ২৪০ ফুট প্রস্থ বেসিং ও ১০ ফুট গভীরতার চ্যানেল তৈরির কাজ চলছে।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Voice Protidin Desk
কমেন্ট বক্স